করোনা দুর্যোগে চিকিৎসা সেবা
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ করোনা দুর্যোগে এপেক্সিয়ান ও নন এপেক্সিয়ানদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে। তারই ধারাবাহিক পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের এই ওয়েবসাইটে সম্মানিত চিকিৎসকবৃন্দের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আপনারা তালিকাভুক্ত সময়ে উক্ত চিকিৎসকবৃন্দের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ ও সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া ও এই দুর্যোগকালীন সময়ে আপনাদের কাছে বিভিন্ন সঠিক তথ্য এবং পরামর্শ পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। ১৯৩১ সালে বিশ্বব্যপীই ছিল অর্থনৈতিক মন্দা ও অস্থিতিশীলতা। অস্ট্রেলিয়ার জিলং শহরের ইওয়েন লেয়ার্ড, লংহাম প্রাউড এবং জন বাকান একত্রিত হলেন, কিভাবে এ জাতীয় সমস্যার মোকাবেলা করা যায়। প্রতিষ্ঠা করেন এপেক্স ক্লাব। ১৯৬১ সাল থেকে শুরু করে বর্তমানে এপেক্স বাংলাদেশের চার্টার্ড -আনচাটার্ড মিলিয়ে ১৪০টি ক্লাবের মধ্যে প্রায় প্রতিটি ক্লাব আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে আসছে। করোনাকালীন এই সময়ে আমাদের এপেক্স পরিবারের চিকিৎসকবৃন্দ আপনাদের সেবায় নিবেদিত থাকার প্রয়াস
এপেক্স কি এবং কেন?
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান-মানুষের রয়েছে এ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণের প্রাথমিক দায়িত্ব সরকারের উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সরকারের পক্ষে এ দায়িত্ব সম্পূর্ণরুপে পালন করা সম্ভব নয় বিধায় সে সকল দেশে বিদেশী সাহায্যে অনেক এন.জি.ও কাজ করছে।
বাংলাদেশেও এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। স্বধীনতার পর থেকে বহু এন.জি.ও বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজস্ব অর্থায়নে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। তার মধ্যে এপেক্স ক্লাব, লায়ন্স ক্লাব ও রোটারী ক্লাব অন্যতম।
১৯৩০ সালে অস্ট্রেলিয়ার জিলং শহরে তিনজন মহা মনীষী ইঞ্জিনিয়ার লংহাম প্রাউড, ইউইন লেয়ার্ড ও জন বুচান প্রথম মহাযুদ্ধের অর্থেনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে বন্ধুত্বের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের লক্ষে যে দুঃখী মানুষের সাহায্যার্থে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বিশ্বজুড়ে সেবার আলো বিকীরণ করেছে। বাংলাদেশে এর ঢেউ লেগেছে ১৯৬১ সনে “এপেক্স ক্লাব অব ঢাকা” গঠনের মাধ্যমে।
এপেক্স ক্লাব একটি অরাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এপেক্স ক্লাবের পরিচয় পাওয়া যায় তার লোগোতে। লোগো বা মনোগ্রামে একটি সমবাহু ত্রিভুজ রয়েছে। মাঝখানে রয়েছে উদীয়মান সূর্য। ত্রিভুজটির তিন বাহু তিনটি আদর্শের প্রতীক। ত্রিভূজের ভূমি নাগরিকত্বের প্রতীক, অপর দুটি বাহুর একটি সেবা ও অপরটি সৌহার্দ্য বা বন্ধুত্ব, মাঝখানে উদীয়মান সূর্য রশ্মির মত বিকশিত হতে থাকেন এবং সেবা সোহার্দ্য ও নাগরিকত্বকে আদর্শে লালিত হয়ে এপেক্স জীবনে শেষাংশে স্ব-স্ব পেশার শীর্ষে আসীন হন এবং সমাজে ও জাতীয় জীবনে এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখেন।
প্রশ্ন হতে পারে নাগরিকত্ব কে কেন এপেক্স এর ভূমি বা ভিত্তি করা হলো, সেবা বা বন্ধুকে কে ভিত্তি করা হয়নি? মজবুত ইমারত করতে হলে শক্ত ভিত্তির প্রয়োজন। দূর্বল ভিত্তির উপর কিছু নির্মাণ করলে তা দূর্বলই হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সেবা কিংবা বন্ধুত্বকে এপেক্সের ভিত্তি করা যায় কিনা দেখা দেখা যাক। সেবা একটি সদগুণ। কিন্তু এ গুণটি একজন অসৎ লোকের মধ্যে ও থাকতে পারে। একটি সঙ্ঘবদ্ধ চোরাকারবারী দলের সদস্য সমাজে সেবার কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। চোরাকারবারীদের আয় রোজগার নিশ্চয়ই বৈধ নয়। অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে লক্ষ লক্ষ টাকা দান করে দানবীর সাজতে পারে এবং সমাজের হর্তা-কর্তা-বিধাতা হতে পারে।
আমাদের সমাজে এ দৃষ্টান্ত বিরল নয়। কিন্তু এ ধরনের সেবা এপেক্স গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের সাথে সৌহার্দ্য বা বন্ধুত্ব করা একটি প্রশংসনীয় কাজ।

Resources
List of our features resources
Corona Treatment Hospitals in Bangladesh
You may contact where test and treatment corona.
এপেক্স এপেক্স এপেক্স,
সেবার আদর্শই ভিত্তি হোক,
সকল উদ্যোগ সব আয়োজন,
সেবাই হোক সেই জীবনের পণ।
গড় নতুন সমাজ নতুন করে,
সুন্দর মানুষে উঠুক ভরে,
সক্রিয় করে তোল করো সচেতন,
সেবাই হোক সেই জীবনের পণ।
মৈত্রীর বন্ধন করো স্থায়ী,
বিশ্বের অঙ্গনে হোক সে জয়ী,
মানুষ মানুষে হোক পরম আপন,
সেবাই হোক সেই জীবনের পণ।https://youtu.be/vfe61dwH7hk